মেডিকেল পরিক্ষা দিয়ে যারা আসছো তাদের জন্য কিছু কথা
পরিক্ষার পর তিন ক্যাটাগরির পোলাপান বের হয়-
◾নম্বর ১
এরা এসে বলবে প্রশ্ন মারাত্বক ইজি হইছে এই প্রশ্নে কেউ ৮৫ + না পাইলে চান্স হবেনা এই সেই।
কেউ কেউ বলবে ১০০/১০০ না পাইলে ঢাকার মধ্যে কোন মেডিকেল পাবেনা।
কেউ কেউ বলবে ৯৬ টা দাগাইছি ৮৫ টা কারেক্ট।
এদের কথায় কান দিয়ে তুমি হতাশ তুমি আশা ছেরে দিচ্ছ।
মনে রাখতে হবে এই টাইপ পোলাপান সব হলো হয় ইন্জিয়ারিং প্রিপারেশন নেওয়া পোলাপান যারা হুদাই পরিক্ষা দিছে কিছু প্রশ্ন পাইরা ১০০/১০০ দাগাইয়া আত্মবিশ্বাস এতটাই হাই থাকে যে এরা ধরেই নেয় এরা অনেক কিছু জানে কারন সে কল্পনা করে সে পড়লো ইন্জিনিয়ারিং নিয়ে হয়ে যাবে ডাক্তার এগুলো ভেবে একা একা হাসে।
তবে ইন্জিয়ারিংএর প্রিপারেশন নেওয়া ছেলে মেয়রাও অনেকেই চান্স পায়।
তবে সংখ্যাটা খুব কমই
আর কিছু আছে অল্প পইড়া প্রশ্ন সহজ পাইয়া ১০০ /১০০ দাগানো পোলাপান এদেরকে রেজাল্ট দিলে আর খুজে পাওয়া যায় না।
এই টাইপ ক্যাটাগরির সময় যতই যাই এরা বুঝতে পারে প্রশ্নটা যতটা সহজ ভেবে দাগিয়ে আসছে ৯৫/১০০ টা।
সময় যাওয়ার সাথে আস্তে আস্তে ভুল বের হয়।
একটা সময় পর দেখা যায় ৬০/৬৫ টা কারেক্ট বাকি সব ভুল। তখন নেগেটিভ মার্ক কত আসলো এবং কাট মার্ক কত আসতে পারে এটা নিয়ে এরা ব্যাপক বিশ্লেষণ করে এবং এরপর যখন মিল পায়না তখন এরা হতাশায় ভুগতে থাকে । রেজাল্ট এর উপর ভাগ্য ছেরে দেয় এবং যোগ বিয়োগ করা ছেরে দেয়। বাট এদের হতাশা কাটেনা। তখন এদের পেট দিয়ে ভাত হজম আর হয়না। রেজাল্ট এর আশায় বসে থাকে
আর একটা কথা মনে রাখতে হবে প্রশ্ন সোজা যতই আসুক ৭০ এর উপরে সেইভ।
প্রশ্ন ফাসের বছর ১৫ সাল আর ২০১৭ সাল ছারা সব বছরেই (৬২-৬৫) + আসলেই চান্স হয়েছে।
গেলো বছরেও যারা পরিক্ষা দিছে সবাই বলতেছে প্রশ্ন সোজা আসছে এই সেই বাট সময় যতই যায় বুঝা যায় প্রশ্ন গুলো পেচানো যতটা সহজ মনে হইছে এতটাও না।
জিকে প্রশ্ন দেখে অনেকেই বলবে ওরে এটা তো প্রিপারেশন ছারাই পারা যায় এবং এটা বলবে যারা পরিক্ষা দেয়নি তারা। বাট সহজ কথা হলো জিকে টা এমন ভাবেই করা হয় যে ২/১ টা প্রশ্ন ছারা বাকি সবগুলো প্রশ্নই মনে হবে আমি এর উত্তর কোথাও না কোথাও পড়ছি।
এবছরের প্রশ্নটা এমও নি আমার কাছে যতটা মনে হলো।
◾নম্বর ২
এরা পরিক্ষা দিয়ে আইসা মনে করে হুদাই ১০০০ টাকা দিয়ে আবেদন করছি এর থেকে বিরিয়ানি খাইতে পারতাম ১০ প্লেট।
ড্যাম কেয়ার টাইপ।
এরা নিজেরাও জানেনা এরা কেন পরিক্ষা দিছে। তবে এরা কিছু পারুক না পারুক এরা ১০০ টা ১০০ টা দাগাবে এটা শিওর।
কেন জানি এরাও ভাবে এদের ৭৫ টা হয়ে যাবে বাকি ২৫ টা হবেনা এবং কোন একটা মেডিকেল এ হবে। বাট এটা কোন কালেই হয়না।
তবুও প্রতি ব্যাচে এমন কিছু থাকে যারা আন্দাজে ঢিল মারতে খুব পছন্দ করে।
এরাই কিন্তু তোমার জানাশুনা বেকবেন্চার।
তবে এদের হাত থেকে সাবধান এরা কিন্তু লাইফে দারুন শাইন করে।
◾নম্বর ৩
এরা আশায় থাকে আবার ভয়ের মধ্যেও থাকে।
এরা এদের কাজ গুলো স্বাভাবিক ভাবেই করে যায়। কেউ জানতে চাইলে মুচকি হাসি দিয়ে বলে এইতো হইছে তবে অতটা ভালো হয়নি।
এদের বাবা মাও এদের কিছু বলেনা কারন এদের বাবা মা জানে ছেলে বা মেয়েটা কত রাত না ঘুমানো ছিলো এই মেডিকেলর জন্য।
এদের বাবা মা তখন সৃষ্টকর্তার কাছে চায়।
সৃষ্টকর্তা দেখেন এদের পরিশ্রম ঠিক আছে কিনা। তারপর দেখেন এরা তার কাছে ফলাফলটা চায় কিনা তখন এই দুটোই যখন একসাথে পান তখন তিনি দেখেন এদের এই জায়গাটায় দেওয়ার থেকে বেটার আরো কোন জায়গা আছে কিনা দেওয়ার যদি তার কাছে মনে হয় না এটাই বেটার হবে তখম তিনি আর না করেন না। তিনি তাদের সফলতা দেন।
সো এটাই বলার ছিলো যে
৪৩৫০ মাত্র সিট যারাই পরিশ্রম করছো তাদেরই হবে আশা রাখো ভয় রাখো। আল্লাহর কাছে চাও
জানি ৪৩৫০ এর বাইরেও অনেক ছেলে মেয়ে আছে যাদের স্বপ্নও আছে চেষ্টাও করছো পরিক্ষা ভালো হয়নি বা ভালো ফলাফল আসবেনা।
আপু বা ভাই তোমাদের জীবন এর খবর তোমাদের থেকেও আল্লাহ ভালো জানেন আমি আগেও বলছি সৃষ্টকর্তা যদি তোমাকে এই সেক্টরে ভাল কোন কিছু না রাখেন এবং তুমি চেষ্টাও করছো কিন্তু হয়নি তখন বুঝতে হবে সৃষ্টকর্তা এখানে তোমার মঙ্গল লিখেন নি।
হয়তো এই সেক্টরে তোমার স্বপ্ন আছে বাট আল্লাহ তোমাকে ভালবাসেন তাই হয়তো কোন একটা খারাপ কিছু আছে যার জন্য তিনি তেমাকে এটা দেন নি তাই ধৈর্য ধরতে হবে হয়তো আল্লাহ চাইলে তোমাকে এর থেকেও বড় সফল মানুষ বানাবেন।
জানি মেডিকেলটা অনেকজনের কাছে স্বপ্নের মত। অনেকেই গায়ে এপ্রোন জড়ানোর স্বপ্ন গত কয়েক বছর ধরে দেখে আসছো। কেউবা ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা করছো।
কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে আল্লাহ তোমার ভালো চান
হয়তো তোমাকে এর থেকেও ভালো কিছু করাতে চান। তাই তিনি তোমার স্বপ্ন আর চেষ্টা থাকা সত্তেও দেন নি
অতঃপর ভেঙ্গে পড়া যাবেনা। স্বপ্ন থাকবেই তাই বলে না পাইলে থেমে থাকলে তো আর জীবন চলবেনা।
দিনশেষ ভালো মানুষ হওয়াটাই আসল।
84
145
0
0